ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৭/০৫/২০২৪ ৯:৫৪ এএম

গ্রামাঞ্চলে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী লোড শেডিংয়ের বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেবিনেটের কথা তো কেবিনেটে চলে গেছে। এটা তো বাইরে বলা যাবে না।

তিনি বলেন, সারাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায়। এটি আমরা গত এক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট, বিশেষত ওয়েল বেইজড পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, অর্থ স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটি ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। এগুলো সার্বিকভাবে সংসদ সদস্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যেন গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যত দ্রুত পারা যায় ব্যবস্থা করতে। আমরা সেটাই ব্যবস্থা করে এখন একটা ভালো অবস্থায় আছি।’

তিনি আরও বলেন, লোডশেডিং এখন কমে গেছে। কারণ, আমি তো প্রতিদিন নিউজ পাচ্ছি। আজকে যদি দেখেন জিরো লোডশেডিং। আমাদের বেশকিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রাখা ছিল। কারণ, জ্বালানি তেলের স্বল্পতা ছিল। যারা তেল আনার কথা তারা আনতে পারছিলেন না। তারা দেরি করছিলেন। যে কারণে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াটের মতো (লোডশেডিং) প্রথম দিকে ছিল। এখন ৫০০ থেকে জিরোর দিকে চলে আসছে। আশা করছি ভবিষ্যতে এটি ভালোর দিকে যাবে।

তেলের সমস্যা কেটেছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের নিজেদের কাছ থেকে তেল দেয়ার। বিপিসি থেকে তেল দেয়ার ব্যবস্থা চলছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় কিছু টাকা ছাড় করেছে, সেটা কি পাওয়া শুরু করেছেন- জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, আমরা কিছু কিছু করে পাচ্ছি। সেটা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।

উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং কেন, এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।

তিনি বলেন, আমাদের জেনারেশনে যতটুকু প্রস্তুত ছিলাম আমরা সে পর্যন্ত গিয়েছি। তার উপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা ছিল। আমরা করতে পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থান। এ দুটো জিনিসকে সমন্বয় করতে হবে। সেটা করতে আমাদের যে সময়টুকু লেগেছে তখন বেশকিছু জায়গায়, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হয়েছে। সার্বিকভাবে এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো।

পাঠকের মতামত

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ভল্ট ঘিরে রেখেছে পুলিশ

রাজধানী‌র ধোলাইখা‌লে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এ‌নে‌ছে ফায়ার সা‌র্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ব্যাংকের ...

‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার রাজি থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার কারণ খুঁজতে হবে’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ...